শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি॥ ১৫ আগস্ট বরগুনায় ছাত্রলীগ পেটানোর ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। ১৩ জনের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন চাকরি বিধিমালা বহির্ভূত বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটির রবিবার বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির কাছে দেওয়া প্রতিবেদনে ওই সুপারিশ করা হয়। সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান।
তিনি বলেন, ওই ১৩ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ১৫ আগস্ট বরগুনায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাকরি বিধিমালা বহির্ভূত বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী বিধি মোতাকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ইতিমধ্যে অতিরিক্তি পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বরগুনার পুলিশ সুপারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
অভিযুক্তরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীসহ একজন পুলিশ পরিদর্শক, তিনজন উপপুলিশ পরিদর্শক, চারজন সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক এবং চারজন কনেস্টেবল।
বরগুনায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের মিছিলে এক পক্ষ আরেকটি পক্ষকে লক্ষ করে শিল্পকলা একাডেমির সামনে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এ নিয়ে পুলিশ বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সামনেই লাঠিপেটা করে শতাধিক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আহত করে। এ সময় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের এক পর্যায়ের মহরম আলী সাংসদের সাথে অসদাচরণ করেন বলে সাংসদ অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমানকে প্রধান করা হয়। অন্য দুই সদস্য ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) তোফায়েল আহমেদ সরকার ও জেলা পুলিশ কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাবুদ্দীন খান।
Leave a Reply